‘ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আমদানিতে প্রভাব ফেলবে না’

ভ্যাকসিন রফতানির ক্ষেত্রে ভারত যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান।

তিনি বলেন, ভারতীয় দূতাবাস থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে যে, ভারত সরকার ভ্যাকসিন নিষিদ্ধ করেছে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে সরকারি পর্যায়ে। এখানে কোনো বাধা নেই।

আজ সোমবার (০৪ জানুয়ারি) এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান।

এর আগে বৈঠকের পর পরই প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে অক্সফোর্ডের টিকা সরবরাহের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। তিনি জানান, ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছেন। বরং আগে যেভাবে প্রক্রিয়া চলছিল সেই প্রক্রিয়া অনুসারেই জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকের মধ্যে টিকা বাংলাদেশে আসবে বলে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিরামের ভ্যাকসিনের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে। এ ছাড়া তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। আমরা সব জায়গা থেকে আশ্বাস পেয়েছি। যেহেতু চুক্তি হয়েছে আমরা ভ্যাকসিন পাব।

এর আগে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা বলেন, রোববার (০৩ জানুয়ারি) ভারতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা তাদের ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে ভারতের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন রফতানি করা যাবে না।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর অক্সফোর্ড উৎপাদিত ‘কোভিডশিল্ড’ ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ পেতে সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এই উদ্যোগের আওতায় প্রথম ধাপের ৬ মাসের প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল সিরামের।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.