বিএনপির আন্দোলন কোন বছর, প্রশ্ন কাদেরের

গণ-অভ্যুত্থানের ঘটানোর মতো বস্তুগত দিক বা বাস্তব পরিস্থিতি এখন দেশে বিরাজমান নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, দেখতে দেখতে সরকারের ১২ বছর চলে গেল। কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর। জনগণও এখন তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে হাসে।

আজ শনিবার (০২ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে অধিকতর সুগঠিত এবং স্মার্ট একটা দল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আরও মজবুত করা হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারকে অব্যাহত সহযোগিতার পাশাপাশি আরও জনঘনিষ্ঠ এবং জনকল্যাণমূলক রাজনীতিতে নিয়োজিত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

সারাদেশে যে সকল জেলা ও মহানগরে কমিটি হয়নি সেসব এলাকায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিতর্কিতরা যাতে দলের নেতৃত্বে আসতে না পারে সে বিষয়ে দল সচেষ্ট থাকবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যত্নবান হতে হবে এবং যাত্রীদের সুরক্ষায় যা যা করার তা করতে হবে।

এ সময় তিনি বিআরটিএতে দালালের দৌরাত্ম্য দূর করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, কারো কারো দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ আছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সড়কে তিন চাকার মোটরযান বন্ধ করতে হবে এবং মোটরযান নির্মাণের কারখানাগুলোও বন্ধ করার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী মালিক শ্রমিকদের আবারও স্মরণ করে দিয়ে বলেন, গাড়িগুলোতে যত আসন তত সিট অবশ্যই মানতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।

রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ প্রান্তে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.