ভারতে অক্সফোর্ডের টিকা ব্যবহারে বিশেষজ্ঞদের সম্মতি

ভারতে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা। শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই টিকা ব্যবহারের পক্ষে সুপারিশ করেছে। শিগগিরই এই সুপারিশ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর কাছে পাঠানো হবে।
খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।

খবর অনুসারে আজ অনুষ্ঠিত সরকারি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভায় ওই সুপারিশ করা হয়। গত বুধবার সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) প্যানেলের সামনে ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ উপস্থাপন করে। সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে।

বাংলাদেশের বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার ওই করোনা-টিকা আমদানি করার জন্য চুক্তি করেছে। ইতোমধ্যে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে বেক্সিমকো ফার্মা ও সেরাম ইনস্টিটিউটের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে।

ডিসিজিআই ভ্যাকসিনটি ব্যবহারে অনুমোদন দিলে ভারত সরকার এ মাস থেকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

উল্লেখ, গত সপ্তাহে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর আগে গত ডিসেম্বরে ফাইজার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেয় দেশটি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি মানুষকে ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি টিকাদান কর্মসূচিতে একটি মাইলফলক তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেননা এটি অপেক্ষাকৃত সস্তা এবং এর ব্যবহারবিধি ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কর্মসূচির জন্য তুলনামূলক সহজ।

ব্রিটিশ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) এ টিকা দেশটিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এমএইচআরএর এ অনুমোদনের অর্থ হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। তবে অক্সফোর্ড টিকা অনুমোদন পাওয়ার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন যেমন ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এটিতে তা নেই। সাধারণ ফ্রিজেই এটি সংরক্ষণ করা সম্ভব।

টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে করোনা ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজের ক্রয়াদেশ এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকাটি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২০২০ সালের শুরুর দিকে। এরপর এপ্রিলে টিকাটি প্রথমবারের মত স্বেচ্ছাসেবীর ওপর প্রয়োগ করা হয় এবং তারপর হাজার-হাজার মানুষের ওপর টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.