সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে আলেপ্পো

প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ শাসিত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী। শহরটি থেকে ইতোমধ্যে পিছু হটেছে সরকারি বাহিনী। ইসলামপন্থি হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে একটি বড় ধরনের আক্রমণে তাদের কয়েক ডজন সেনা নিহত হয়েছে।এদিকে শনিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে সমর্থন করতে তাদের বিমানবাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের (এসওএইচআর) বরাতে কাতার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সিরিয়ার সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, বিদ্রোহীরা শহরের বেশির ভাগ এলাকায় ঢুকে গেছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের বড় পদক্ষেপ।

এসওএইচআর সিরিয়ার কিছু নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করে। তারা জানিয়েছে, সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমানগুলো শুক্রবার ওই এলাকায় অন্তত ২৩বার বিমান হামলা চালিয়েছে।

এসওএইচআর বলছে, গত বুধবার থেকে শুরু সংঘাতে তিন শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন বেসামরিক রয়েছে। রাশিয়া দাবি করেছে, রুশ বিমানবাহিনীর সহায়তায় সিরিয়ান বাহিনী ৩০০ বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে।

২০১৬ সালে বিদ্রোহীদের আলেপ্পো থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারি বাহিনী। এরপর থেকে এটিই বিদ্রোহীদের বড় লড়াই।

ইসলামপন্থী গ্রুপ হায়াত তাহরির আল-শামস (এইচটিএস)-এর সঙ্গে যোগসূত্র আছে এমন চ্যানেলে পোস্ট করা ভিডিওতে শহরের ভেতরে গাড়িতে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের দেখা যাচ্ছে।

২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভ দমনে সরকারি বাহিনীর অভিযানের পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

জিহাদিসহ যে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আসাদ সরকারের বিরোধিতা করেছিল তারা দেশটির বিভিন্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। সিরিয়ার সরকার পরবর্তী সময়ে রাশিয়া ও অন্য সহযোগীদের সহায়তায় দেশটির অধিকাংশ এলাকা পুনর্দখল করে নেয়।

তবে দেশটির ইদলিব এখনো বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি। এর বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে এইচটিএস। তবে তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীদের একাংশ ও তুর্কি বাহিনীও সেখানে অবস্থান করছে।

অর্থসূচক/এএকে

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.