চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও সাবলীলভাবে খেলতে থাকে শ্রীলঙ্কানরা। দিনের শুরুতে শরিফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসানরা বোলিং আক্রমণে আসেন। কিন্তু দেড়শ’র দ্বারপ্রান্তে থাকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস এবং হাফ সেঞ্চুরির আশায় থাকা দীনেশ চান্দিমাল বেশ দেখেশুনেই খেলতে থাকেন।
স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে রানও বাড়িয়ে চলেছেন তারা। যদিও চতুর্থ ওভারেই ম্যাথুসকে ফেরানোর সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিছু না বুঝেই সুযোগটি হাতছাড়া করে তারা। খালেদ আহমেদের লেংথ বলে আলতো করে খোঁচা দেন ম্যাথুস। তার ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। যদিও কেউ না বোঝায় আউট দেয়ার আবেদন করেননি।
বরঞ্চ খালেদ-লিটন আর অধিনায়ক মুমিনুল হক ভেবেছিলেন, অল্পের জন্য ব্যাটে বল লাগেনি ম্যাথুসের! ম্যাচের প্রথম দিন ৬৯ রানে থাকা অবস্থায় স্লিপে মাহমুদুল হাসান জয়কে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান ম্যাথুস। তবে ম্যাথুস-চান্দিমালের ১৩৬ রানের অসাধারণ জুটিটি ভাঙেন নাঈম ইসলাম। প্রথম দিনের মতো এ দিনও বাংলাদেশকে কাঙ্খিত ব্রেক থ্রু এনে দেন তিনি। নাঈমের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন চান্দিমাল।
এরপর রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি। যেখানে দেখা যায়, নাঈমের বল চান্দিমালের ব্যাটে লাগেনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ১৪৮ বলে খেলা ৬৬ রানের এই ইনিংসে ছিল দুটি চার ও তিনটি ছক্কার মার। চান্দিমালকে ফেরানোর পর চটজলদি নিরোশান ডিকওয়েলাকেও ফেরান নাঈম। সেই ওভারের পঞ্চম বলে ডিকওয়েলাকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান তিনি। এই উইকেটরক্ষকের ব্যাটে আসে ৩ রান।
ইনিংসের ১১৪তম ওভারে পাঁচ বলের ব্যবধানে চান্দিমাল ও ডিকওয়েলাকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার আগ্রাসী মনোভাবে লাগাম দেন নাঈম। এরপর মধ্যাহ্নভোজ বিরতি থেকে ফিরেই দ্বিতীয় বলে রমেশ মেন্ডিসকে বিদায় করেন সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের কুইকার বুঝতেই পারেননি রমেশ। ফিরে যান এক রান করে। তার পরের বলেই লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন এম্বুলদেনিয়া।
এদিকে ৩২৮ রানের মধ্যে আট উইকেট ফেলে দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। এরপর সাকিব, নাঈমদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ান বিশ্ব ফারনান্দো। দেখেশুনে খেলে দেড়শ রান পার করা ম্যাথুসকে ভালোভাবেই সঙ্গ দিচ্ছেন তিনি। যদিও বিশ্ব ফারনান্দোর সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহিম। সাকিবের বলে মিড অনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ফারনান্দো। তা লুফে নিতে ব্যর্থ হন মুশফিক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ এর বেশি সংখ্যক বল খেলে ফেলেছেন ফারনান্দো, অপরদিকে ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছে ম্যাথুস।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.