ভারতের শিল্পপতি ও রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির ৩৫ কোটি ১০ লাখ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি রুপি) ফ্রিজের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ইডির প্রধান কার্যালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে ঋণ অনিয়ম ও অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে অনিল আম্বানির মালিকানাধীন রিলায়েন্স গ্রুপ ভারতের ইয়েস ব্যাংক থেকে প্রায় ৫৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার (৫ হাজার ৫০ কোটি রুপি) ঋণ নিয়েছিল। রিলায়েন্স হোম ফিন্যান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফিন্যান্স লিমিটেড নামে এই ঋণ নেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে সেই ঋণ পরিশোধ করা হয়নি এবং ঋণের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
মুকেশ ও অনিল আম্বানির বাবা ধীরুভাই আম্বানি ছিলেন ভারতের শীর্ষ শিল্পপতিদের একজন। ২০০২ সালে তার মৃত্যুর পর সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরে তাদের মা কোকিলাবেন আম্বানি সম্পত্তি ভাগ করে দেন— মুকেশের অংশ হয় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আর অনিলের অংশ হয় রিলায়েন্স এডিএ গ্রুপ।
বর্তমানে মুকেশ আম্বানির ব্যবসা জ্বালানি, পেট্রোকেমিক্যাল, টেলিকম, মিডিয়া ও খুচরা বাণিজ্য খাতে বিস্তৃত; অন্যদিকে অনিল আম্বানির ব্যবসা মূলত অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্রিক।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.