সাবেক যুবলীগ নেতা সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

অর্থপাচার মামলায়

অর্থপাচার মামলায় যুবলীগের সাবেক নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ ছাড়া সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সম্রাটের জামিন আবেদন বাতিল করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন। আজ সম্রাটের আদালতে হাজির হওয়ার নির্ধারিত তারিখ ছিল। তিনি আজ শারীরিকভাবে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

গত ২৩ অক্টোবর একই আদালত সম্রাট ও আরমানকে আজকের শুনানিতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। ২০২৩ সাল থেকে সম্রাটের আইনজীবী ছিলেন শাহনাজ পারভিন হীরা। তবে গত সপ্তাহে প্রসিকিউশন আইনি সুবিধা বাতিলের আবেদন করে।

সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারক সম্রাটের অবস্থান জানতে চাইলে তার আইনজীবী জানান, তিনি জানেন না সম্রাট কোথায় আছেন। এরপর আদালত নির্দেশ দেয় যে সম্রাটকে অবশ্যই পরবর্তী শুনানিতে হাজির হতে হবে।

২০২২ সালের ১০ এপ্রিল আরেক আদালত অর্থপাচার মামলায় সম্রাটকে জামিন দেয়। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লায় ভারত সীমান্তের কাছে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর সময় এসব ক্যাসিনো পরিচালনায় সম্রাটের নাম আসে। গ্রেপ্তারের পর সম্রাটকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অর্থপাচারের মামলা দায়ের করে। এর আগে মাদক, অস্ত্র ও দুর্নীতির মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.