ড্রোন হামলার পর নাহিদ-বাবরদের পিএসএল ম্যাচ স্থগিত

রাওয়ালপিন্ডিতে করাচি কিংসের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল নাহিদ রানার পেশাওয়ার জালমির। তবে স্টেডিয়াম সংলগ্ন ফুড স্ট্রিটের একটি ভবনে ড্রোন হামলা হওয়ায় ম্যাচটি স্থগিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা। তবে ম্যাচটি কবে নাগাদ, কোথায় অনুষ্ঠিত হবে সেটা নিয়ে কিছু জানায়নি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ক্রিকেটেও। আগামী ১১ মে ধর্মশালায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল পাঞ্জাব কিংসের। যুদ্ধের দামামার মধ্যে ম্যাচ অবশ্য চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। জানা গেছে, ধর্মশালার পরিবর্তে মুম্বাই ও পাঞ্জাবের ম্যাচটি। প্রায় একই চিত্র পাকিস্তানেও।

কয়েকদিন আগে ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পর এবার পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুসারে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশে থাকা ফুড স্ট্রিটের একটি ভবনে ড্রোন হামলা চালায় তারা। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই করাচি ও পেশাওয়ারের ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে আরও কয়েকটি ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো স্থগিত করা হতে পারে।

শুক্রবার (৯ মে) একই মাঠে রিশাদ হোসেনের লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল নাহিদের পেশাওয়ারের। বর্তমান পরিস্থিতিতে পিসিবি টুর্নামেন্ট চালিয়ে যেতে আশাবাদী হলেও বিদেশি ক্রিকেটাররা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

সূত্র অনুযায়ী, পিএসএলে ছেড়ে দেশে ফেরার অনুরোধ করেছেন টুর্নামেন্ট খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফররা। তবে তাদেরকে আশ্বত করার চেষ্টা করেছেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। এমনকি রাওয়ালপিন্ডিতে ড্রোন হামলা হওয়ার পর বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি।

সূত্র আরও বলেছে, ‘বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ-ক্রিকেটার মিলে এখানে ৪০-৪৫ জন ক্রিকেটার আছে। ওরা আসলে খুবই শঙ্কিত। কী হচ্ছে সেটা ওরা বুঝতে পারছে না। এখানে অনুশীলনও হচ্ছে না দলগুলোর। পিসিবি সবাইকে বলেছে ম্যাচগুলো করাচিতে স্থানান্তর করতে চায়। ক্রিকেটাররা বলছে টুর্নামেন্ট দুবাইতে স্থানান্তর করতে। নয়ত তারা না খেলে যার যার দেশে ফেরত যেতে চায়।’

পিএসএলের বাকি অংশের খেলাগুলো দুবাইয়ে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। যদিও এমন প্রস্তাবে খুব বেশি ইতিবাচক নয় পিসিবি। পাকিস্তানের করাচিতে ম্যাচগুলো আয়োজনের চেষ্টা করছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এদিকে এমন পরিস্থিতিতে নাহিদ ও রিশাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে পিসিবি ও ইসলামাবাদে থাকা বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.