ইউক্রেনকে সমর্থন জানাতে কিয়েভ সফরে ইউরোপীয় নেতারা

রাশিয়ার আগ্রাসনের তিন বছর দেখছে ইউক্রেন। এ উপলক্ষে নিজেদের সমর্থন প্রকাশে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইউরোপীয় নেতারা কিয়েভ সফরে যান।

নেতারা সেখানে সাপোর্ট ইউক্রেন সম্মেলনে যোগ দেন। ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টা নিয়ে আলাপ করেন। যুক্তরাষ্ট্র এ সম্মেলনে যোগ দেয়নি। দেশটির নেতৃস্থানীয়রা তাদের সঙ্গে খনিজ চুক্তিতে যেতে ও যুদ্ধ অবসানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপরে নানাবিধ চাপ তৈরি করছে।

সাপোর্ট ইউক্রেন সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডের লিয়েন, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো শ্যানচেজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ছাড়া ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে ও সুইডেনের নেতৃস্থানীয়রা।

জেলেনস্কি বলেছেন, সব যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি শুরু হতে পারে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার অবশ্যই ইউক্রেনীয়দের মুক্ত করে দিতে হবে। ইউক্রেনে প্রত্যেকের বদলে বিনিময় করতে প্রস্তুত।

তিন বছর আগে রাশিয়ার ট্যাংক ইউক্রেনে প্রবেশ করে। সে সময় রুশ বাহিনী দেশটির রাজধানী কিয়েভেও প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু ইউক্রেনীয় বাহিনীর বাধার মুখে তাদের পিছু হটতে হয়। পূর্ব ইউক্রেন পরিণত হয় যুদ্ধক্ষেত্রে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার সশরীরে কিয়েভে উপস্থিত না হলেও ভিডিও লিংকের মাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া এই যুদ্ধে সবকিছু নির্ধারণ করছে না।’ তার এ মন্তব্যের পেছনে কারণও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, ইউক্রেনের শান্তি আলোচনা প্রশ্নে রাশিয়ার হাতেই সব কার্ড।

তবে স্টারমার বলেছেন, এটি সত্যি না। ইউক্রেনীয়দের নিজেদের দেশ প্রতিরক্ষার মতো সাহস রয়েছে। স্টারমার আরও বলেন, ইউক্রেন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ইউরোপ পরবর্তী লক্ষ্যে পরিণত হবে। এটিই মূল বিষয় এ কারণেই আমরা সব সময় ইউক্রেনের পাশে ও আমাদের মিত্রদের পাশে থাকব।

এদিকে যুদ্ধের তিন বছর পূর্তিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। ফোনালাপের বিষয়টি মস্কো ও বেইজিং দুই পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.