এবার হাসিনা-শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

গণঅভ্যুত্থানে পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারাদেশে একের পর এক হত্যা মামলা হচ্ছে। আন্দোলনের সময় গুলি ও হামলায় নিহতদের স্বজনদের পক্ষ থেকে এসব মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এবার বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জেও তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এ মামলায় চরম বিতর্কিত আওয়ামীলীগ নেতা শামীম ওসমানসহ ৪৮ জনের নামে অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার রাতে ৫ অগাস্ট শহরের চাষাঢ়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আবুল হাসান স্বজনের বড়ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, তার বড়ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শ্যালক বিসিবি পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ছোটভাই মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বলসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০-১৫০ জনকে৷

ওসি বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি।

মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়৷ এ সময় আওয়ামী লীগের লোকজন গুলি করে।

সংঘর্ষে বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা গ্রামের আবুল হাসান স্বজন গুলিবিদ্ধ হন৷ পরদিন ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

প্রবল গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অষ্টম মামলা এটি।

উল্লেখ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলায় ছয় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মারাত্মকভাবে আহ্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ওই আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিলে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিহতদের স্বজনরা হত্যার বিচার চেয়ে একের পর এক মামলা করছেন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.