বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুমুল বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ওবায়দুল হাসান। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাঁর পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘সুপ্রিমকোর্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিগণকে শারীরিক হেনস্থা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজ কোর্টগুলো ও রেকর্ড রুমসমূহ রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।’
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছিলেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে আজ শনিবার তিনি হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের (হাইকোর্ট বিভাগ ও আপীলাত বিভাগ) বিচারপতিদের নিয়ে ফুল কোর্ট সভা আহ্বান করলে এর উদ্দেশ্য নিয়ে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহ দেখা দেয়। বিশেষ করে আগের দিন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে তার মা পদত্যাগ করেননি, তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, আদালতে গেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার টিকবে না মর্মে যে দাবি করেছেন, তার সঙ্গে ওই ফুট কোর্ট সভার সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে এটিকে ‘জুডিশিয়াল ক্যু’ হিসেবেও তুলে ধরেন।
ফুল কোর্ট সভার আহ্বানের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাবার পর আজ সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। পরে বিপুল শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এরই এক পর্যায়ে ওবায়দুল হাসান জানান, তিনি পদত্যাগের নীগিতগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর দুপুরে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.