হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের অধীনে ভারতের প্রথম ওয়ানডে সিরিজটি ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গম্ভীরের অধীনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও ওয়ানডেতে আর সেটা করতে পারেনি ভারত। শ্রীলঙ্কার কাছে দলটি সিরিজ হেরেছে ২৭ বছর পর। তিন ম্যাচের সিরিজটি ভারত হেরেছে ২-০ ব্যবধানে (একটি টাই)। যে হারটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়। এর আগে ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে হারে দলটি। পুরো সিরিজে স্পিনারদের বিপক্ষে ২৭টি উইকেট দেয় ভারত। এটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ।
রোহিত বলেন, ‘আমার মনে হয় না উদ্বেগের কিছু আছে। তবে এটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে, ব্যক্তিগতভাবে নিজের খেলার পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। পুরো সিরিজে আমরা চাপে ছিলাম। পুরো বিষয়টি নতুনভাবে দেখতে হবে, কথা বলতে হবে, নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসতে হবে। যে উইকেট বল টার্ন করে, রান করাটা কঠিন, সে উইকেটে বোলারদের ওপর দাপট দেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ। একটু সাহসী ক্রিকেট খেলা জরুরি। আমার মনে হয় না আমরা পুরো সিরিজে তাদের চাপে ফেলার মতো যথেষ্ট সাহসী ছিলাম। যে কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলাম।’
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে টাই হওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ৩২ রানে জেতে শ্রীলঙ্কা। বুধবার কলম্বোয় তৃতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকেরা জিতেছে ১১০ রানের বিশাল ব্যবধানে। কদিন আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা ভারত কী তাহলে আত্মতৃপ্তিতে ভুগছে? রোহিত বলেন, ‘এটা বললে রসিকতা করা হবে। আপনি যখন ভারতের হয়ে খেলবেন, তখন কোনো আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই, অন্তত আমি যত দিন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছি। এমনটা হবে না। আমরা এখানে প্রতিটা ম্যাচেই জেতার চেষ্টা করেছি, সেরাটা দিয়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে এটা সত্য, আমরা মুখ থুবড়ে পড়েছি। শ্রীলঙ্কাকে কৃতিত্ব দিতে হবে, তারা আমাদের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আর একটা সিরিজ হারা মানে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়।’
অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.