মিরপুর ১০ নম্বরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে একজন। এছাড়া দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
রবিবার (৪ আগস্ট) মিরপুর ১০ নম্বরের ড. আজমল হাসপাতাল, আলোক হাসপাতাল ও পপুলার ডায়গনেস্টিক সেন্টার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গুলিতে নিহত ব্যক্তির নাম মো. মিরাজ হোসেন। তার বয়স ২২ থেকে ২৩ বছর হবে বলে জানা যায়। তিনি আলিফ পরিবহনের একটি বাস চালাতো। সে আন্দোলন দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
ড. আজমল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আমাদের এখানে ৩৫-৪০ জন আহত রোগী এসেছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই রাবার বুলেট ও ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। আর কয়েকজন সরাসরি গুলিতে আহত হন। এছাড়াও ইটের আঘাতে আহত হয়ে এসেছেন কেউ কেউ।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে একজন নিহত হয়েছেন। ফুসফুসে গুলি লেগে নিহত হয়েছেন তিনি। এছাড়া একজনের অবস্থা গুরুতর। আমরা তাকে সরকারি হাসপাতালে রেফার করছি।
পপুলার ডায়গনেস্টিক সেন্টারের পাবলিক রিলেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে ৫০ জনের মতো আহত রোগী এসেছে। বেশিরভাগই এসেছে ছররা গুলি লেগে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পাঠিয়ে দিয়েছি।
এদিকে আলোক হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. মুশফিক হোসাইন বলেন, আমাদের এখানে সকাল থেকে আনুমানিক ১০০ জন আহত হয়ে এসেছেন। তারা সবাই গুলিতে আহত হয়েছেন।
অর্থসূচক/ এইচএআই
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.