নির্বাহী আদেশে দেওয়া ৩ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে বুধবার ব্যাংক খুললেও সেবা দেবে সীমিত পরিসরে। এ দু’দিন সকাল ১১টায় ব্যাংকে লেনদেন শুরু হবে, তা চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত। তবে এ দু’দিন ব্যাংকগুলোর সব শাখা খোলা থাকবে না। এছাড়া টাকা জমা ও উত্তোলনের মতো সুযোগ ছাড়া অন্যান্য সেবাও বন্ধ থাকতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) কাছে পাঠানো নির্দেশনায় এই বার্তা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ নির্দেশনা অনুসারে, বুধবার ব্যাংকের ৫০ শতাংশ শাখা ও বৃহস্পতিবার ৭৫ শতাংশ শাখা খোলা রাখতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কারফিউ শিথিল থাকার সময়ে বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্ধারিত শাখায় সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে হবে। ব্যাংকগুলো তাদের সুবিধামতো শাখা খোলা রাখার উদ্যোগ নেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সীমিত ব্যাংকিং সুবিধা বলতে মৌলিক ব্যাংকিং, অর্থাৎ টাকা জমা ও উত্তোলনের সুবিধাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। ঋণপত্র, পে–অর্ডার, হিসাব খোলাসহ অন্যান্য সেবা এ সময়ে মিলবে না। ব্যাংকগুলো শুধু মৌলিক সেবা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের অফিসে আনার উদ্যোগ নেবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংক খোলা থাকলেও ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়ায় অনেক সেবা দিতে পারেনি ব্যাংকের শাখাগুলো। এরপর সাপ্তাহিক ছুটি ও সাধারণ ছুটির কারণে টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ। এই সময়ে বৈদেশিক লেনদেনও বন্ধ হয়ে গেছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় প্রবাসী আয়ও আসছে না। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। টাকার সংকটে অনেক এটিএম বুথ অকার্যকর হয়ে গেছে। ফলে টাকার সংকটে পড়েছেন ব্যাংকের গ্রাহকেরা। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা ৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হচ্ছে। অন্য সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন করা যায়, খোলা থাকে ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও কারফিউ জারির কারণে রোববার থেকে মঙ্গলবার সরকারি বেসরকারি অফিসে ছিল সাধারণ ছুটি। এর আগের দু’দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। একই সময়ে দেশের সব ব্যাংকও বন্ধ রাখা হয়। সে হিসাবে টানা পাঁচ দিন পর বুধবার আংশিকভাবে চালু করা হচ্ছে ব্যাংকিং সেবা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.