জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের রাবার বুলেটে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পুলিশের সহায়তায় প্রশাসনিক ভবন থেকে অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রশাসনের হল ছাড়ার নির্দেশনা শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করে দুপুরে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে উপাচার্যসহ কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্যকে অবরুদ্ধ করে।
পরে পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং বিকেলে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়ে শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে পড়ে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বরত চিকিৎসক রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী রাবার বুলেটে আহত হয়ে এখানে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫-৬ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। তাদের ছররা গুলি লেগেছে।’
এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রশাসনিক ভবন থেকে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে দৌড়ে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশের সহায়তায় উপাচার্য প্রশাসনিক ভবন থেকে পালিয়ে গেছেন। দৌড়ে বের হয়ে অনেক দূর গিয়ে তিনি একটি গাড়িতে উঠেছেন। এখন পুলিশের গুলিবর্ষণ কিছুটা কমেছে। মনে হয় বিজিবি নামতে পারে।’
সন্ধ্যার দিকে ছররা বুলেটে আঘাতপ্রাপ্তদের উদ্ধার করে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মারধর করে।
অর্থসূচক/