গত দশ পনেরো বছর ধরে আমি চেষ্টা করছি ভিন্ন কিছুর সাথে সম্পৃক্ত হতে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া। আমার মনে হয়, সংসদ সদস্য হবার পেছনে নিরাপদ খাদ্যের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
২০২৪-২৫ অর্থবছর মেয়াদে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি স্বাক্ষর শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) কার্যক্রমকে সম্প্রসারণ ও জনসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমদের সঙ্গে এক বছরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে কর্তৃপক্ষ।
ফেরদৌস বলেন, “নিরাপদ খাদ্যের সাথে যখন সংযুক্ত হলাম, এরপর থেকে মাঠে-ঘাটে, জন-প্রান্তরে, মানুষের সাথে মেশার যে ব্যাপারটা ছিলো, সেটা কিন্তু এই জায়গা থেকেই শুরু হয়েছে। শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা না করে অন্যান্য বিভাগে ও জেলাসমূহেও কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে”।
তিনি আরও বলেন, “যারা ভেজাল দেয়, তারা একদিনে শুধরাবার নয়। এটা দীর্ঘদিনের অনুশীলনের বিষয়। তাই নিরাপদ খাদ্যের কাজটা আরও নিষ্ঠার সাথে সুন্দরভাবে করতে হবে।”
এ অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ চেয়ারম্যান জাকারিয়া। তিনি সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “যেহেতু তিনি (ফেরদৌস) এখন নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত আছেন, তাই আমরা চাইবো তিনি যেনো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যান”।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কর্তৃপক্ষের সদস্য আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, “এ চুক্তির ফলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি দেশের জনসাধারণের কাছে আরো উজ্জ্বল হবে”।
উল্লেখ্য যে, গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফেরদৌস আহমেদ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য পূনরায় তাঁকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.