টানা সাতটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে এইডেন মার্করামের দল। বৃষ্টি আইনে সাউথ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ১২৪ রানের। এই রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। উল্লেখ করার মতো কোনো জুটিই গড়তে পারেনি দলটি।
এমনকি অধিনায়ক মার্করাম নিজেই ফিরছেন ১৫ বলে ১৮ রান করে, ৫.২ ওভারের মধ্যেই। ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় কেবল ত্রিস্তান স্টাবসই খেলেন ২৭ বলে ২৯ রানের ইনিংস। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ব্যাটাররা জুটি গড়তে না পারায় হতাশ মার্করাম। তবে বোলারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট তিনি। এই ম্যাচে মাত্র ২৭ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়েছেন শামসি। দারুণ পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরার পুরষ্কারও জিতে নিয়েছেন এই স্পিনার।
মার্করাম বলেন, ‘সেমিফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ তৃপ্তি লাগছে। আমরা আরও দাপটের সঙ্গে জিততে চেয়েছিলাম। বৃষ্টির বিরতির পরও আমরা ঠিকভাবে খেলছিলাম, ম্যাচটা আগে শেষ করে দিতে চাচ্ছিলাম। আমরা একটু ট্রিকি উইকেটে খেলেছি (বৃষ্টির কারণে), তবে জিততে পেরে ভালো লাগছে। আমরা অসাধারণ বোলিং করেছি, এমন উইকেটে তাদের অল্প রানে আটকে রাখতে পেরেছি। বৃষ্টির পর আমরা একটি জুটি গড়তে পারতাম, সেখান থেকে ম্যাচ বের করে আনতে পারতাম। আমরা সেখান থেকে শিখেছি, আশা করি এই ভুল আর করব না। আমরা শামসিকে নিয়েছি, তার রহস্যময় স্পিন ওদের ভুগিয়েছে, স্পিনারদের নিয়ে কাজ না হলে পেসারদের দিয়ে বোলিং করাতাম। আমরা সত্যিকার অর্থেই দারুণ খেলছি। বোলিং ইউনিট দুর্দান্ত বোলিং করছে, আর ব্যাটিং ইউনিট দরকার অনুযায়ী খেলা এগিয়ে নিচ্ছে। আমাদের এসব অবস্থায় আরও স্মার্ট হতে হবে।’
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.