আরও দুই-একটা ওয়াইড ছিলো যেগুলো দেয়নি: হৃদয়

সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। এই লো স্কোরিং ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ছিল বাংলাদেশেরই। ১৭তম ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৯৪ রান। উইকেটে ছিলেন হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল ২০ রানের। সেখান থেকে শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১১ রানের। এই রানই নিতে পারেনি বাংলাদেশ।

হারের পর আক্ষেপ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেছেন, ‘কখনো মনে হয়নি এই ম্যাচ হারতে পারি। যেটা বললাম আমি যদি খেলাটা শেষ করতাম তাহলে দলের চিত্রটা ভিন্ন হতো। ঠিকাছে এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’

ইনিংসের ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওটনিয়েল বার্টম্যানের করা ফুলার লেংথের ডেলিভারিতে খানিকটা আড়াআড়িভাবে গিয়ে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় লেগ বিফোর উইকেটের জন্য আবেদন করেছিলেন বোলার ও ফিল্ডাররা। অনফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নাগোস্কি সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে আউট দিয়ে দেন। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে কথা বলে শেষ পর্যন্ত রিভিউ নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্প মিস করে যেতো। যার ফলে বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয় আম্পায়ারকে। মাহমুদউল্লাহও বেঁচে যান রিভিউ নিয়ে। যদিও তার আগে বল বাংলাদেশের এই ব্যাটারের প্যাডে লেগে বাউন্ডারি পেরিয়ে যায়। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেয়ায় তখন সেটি ডেডবল হিসেবে গণ্য হয়েছে। যে কারণে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ার পরও সেই চার রান পায়নি বাংলাদেশ।

সেই রানই অবশ্য শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সাউথ আফ্রিকার করা ১১৩ রান তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে থামে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে না পারায় হারতে হয়েছে ৪ রানেই।

ম্যাচ শেষে এ প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, ‘নিয়ম তো…আইসিসি কি করেছে সেটা আমাদের হতে নাই। আমি মনে করি আম্পায়ার কল (আউট) দিয়েছে। আম্পায়ারের ভুল হতেই পারে। ওরাও মানুষ। আমাদের আরও দুই-একটা ওয়াইড ছিলো যেগুলো দেয়নি। এখানে এরকম ভেন্যুতে খেলা। যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ সেই জায়গায় একটা-দুইটা রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। আমার মনে হয় চারটা রান, দুইটা ওয়াইড খুব ক্লোজ কল ছিলো। আমার আউটটা আম্পায়ার্স কল ছিলো। এই জায়গাগুলো উন্নতির জায়গা আছে। আইসিসি যেটা নিয়ম করেছে এটা হাত নাই।’

মাহমুদউল্লাহর ওই ঘটনার মতো আম্পায়ারের আরও একটি সিদ্ধান্ত গেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। কাগিসো রাবাদার বলে খেলতে পারেনি হৃদয়। বলে প্যাডে লাগতেই আউট দেন আম্পায়ার। যদিও রাবাদা ও সাউথ আফ্রিকার ফিল্ডাররা সেভাবে জোরালো আবেদন করেননি। তবুও আঙুল তুলে আউট দিয়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। হৃদয় রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলের গ্যাঁড়াকলে পড়ে ফিরতে হয় তাকে।

তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমাদের জন্য ওইটা ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। শ্বাসরুদ্ধকর একটা ম্যাচ ছিল। আমার দিক থেকে যদি বলি তাহলে আমাদের খুব কঠিন। সেই চারটা রান হয়ত ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে দিতো। ওইটা নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন হৃদয়। নিজের পারফরম্যান্সের রহস্য খোলাসা করে তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করি তখন আমার লক্ষ্য থাকে ইন্টেন্টের সঙ্গে ব্যাটিং করবো। রানের খেলা, মাথায় পরিকল্পনাই থাকে কিভাবে রান করতে পারি পরিস্থিতি যেমনই হোক। কিছু সময় কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করবো, ম্যাচের চাহিদা অনুযায়ী চেষ্টা করি বাস্তবায়ন করার জন্য।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.