৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। আজ (৫ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে।

চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৮টি পৌরসভা ও ৮৭৪টি ইউনিয়নের দুই কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে সাত হাজার ৮২৫টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট বিজিবি মোতায়েন থাকছে ১৬৬ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে ১৯ হাজার ৪৭৮ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন, মোবাইল টিমে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ছয় হাজার তিনজন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ সদস্য থাকবেন দুই হাজার ৬৭৩ জন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‌্যাবের ১৫৪টি টিম থাকবে। ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে ৬৬ হাজার ৫৭৯ জন। নির্বাচনে স্বাভাবিক এলাকার ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ, চৌকিদার, দফাদারসহ মোট ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ এলাকার (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ থেকে ২১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে পর্যন্ত আচরণবিধি এবং আইনশৃঙ্গলা রক্ষায় প্রতি উপজেলার জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি তিনটি ইউনিয়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

ইসির তথ্যমতে, চতুর্থ ধাপের ভোটের মধ্য দিয়েই ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে। তবে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া ২০টি উপজেলায় আগামী ৯ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। ফলে ওইদিনই উপজেলা নির্বাচন চূড়ান্তভাবে সমাপ্ত হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.