আজ চুয়াডাঙ্গা-যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরোদেশ। এই গরমে নাভিশ্বাস উঠছে জনপদে। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। রোদে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের ওপর দিয়ে কয়েকদিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বুধবার (১ মে) বিকেলে এ দুই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যেটা দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে, ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭২ সালের পর এটিই দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২০০৯ সালে যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল। অব্যাহত তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহে এ অঞ্চলে যেন মরুর উত্তাপ বিরাজ করছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতবছর ১৯-২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.