ইসরায়েল-হেজবুল্লাহর মধ্যে তীব্র উত্তেজনা

ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলের সেনা ও হেজবুল্লাহ দুই পক্ষই একে অপরকে আক্রমণ করেছে। দুই তরফেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ও মানুষ মারা গেছেন। দক্ষিণ লেবাননের গ্রামে ইসরায়েল রাতে হামলা করে। তাতে সাতজন মারা যান। এরপর হেজবোল্লাহ ইসরায়েল সীমান্তের শহরে একের পর এত রকেট ছোড়ে। এর ফলে একজন মারা গেছেন। দুই দিকেই উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। এই সংঘাত আরো বাড়ার আশংকা রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল লেবাননের আরও দুইটি গ্রামে বোমা-হামলা করে এবং তাতে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা লেবাননে জঙ্গিদের মোকাবিলা করছে। তারা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছে, তাতে একজন প্রধান জঙ্গি মারা গেছে। সেনার তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘জঙ্গি গোষ্ঠী আল-জামাত আল-ইসলামিয়া গোষ্ঠীর একজন প্রধান জঙ্গিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়েছিল। ওই জঙ্গি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণের পিছনে ছিল। সেই জঙ্গি ও তার কিছু সঙ্গী মারা গেছে।’

লেবাননের মিডিয়া জানিয়েছে, আল-জামাত আল-ইসলামিয়ার একটি মেডিক্যাল সেন্টারের উপর আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।

লেবাননের সরকারি বার্তা সংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান থেকে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে্। তার ফলে সাতজন চিকিৎসাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। চারজন বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন।

এরপর হেজবুল্লাহ ইসরায়েল লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছুড়তে থাকে। এই রকেটগুলি কিরিয়াত শমোনা শহরের বাড়িতে গিয়ে পড়ে। উদ্ধারকারী দল গিয়ে ২৫ বছরের এক যুবককে উদ্ধার করে। তাকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

লেবাননের সরকারি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েল সূর্যাস্তের পর একটি গ্রামে হামলা করেছে। সেখানে দুইজন চিকিৎসাকর্মীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ ছাড়াও ইসলরায়েল উপকূলবর্তী শহর নাকাউরাতেও হামলা করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে প্যারামেডিক গ্রুপ ইসলামিক রিসালা স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের উপর হামলা করা হয় এবং তিনজন মারা যান বলে অভিযোগ।

ইসরায়েল দাবি করেছে, দুইটি জায়গায় তারা জঙ্গি ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে।

হেজবোল্লাহ জানিয়েছে, সবমিলিয়ে তাদের ২৪০ জন যোদ্ধা মারা গেছেন। দুই তরফেই বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন। কয়েক লাখ মানুষ এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.