ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সহযোগিতা দিয়ে যাবে তেহরান: ইরানের প্রেসিডেন্টের

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে পেরে ইরান গর্বিত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি। তিনি বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান পাশবিক যুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলিকে সহযোগিতা চালিয়ে যাবে তেহরান।

ইরান সফররত হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া গতকাল তেহরানে প্রেসিডেন্ট রায়িসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

রায়িসি বলেন, ইরান ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষায় সহযোগিতা করে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সংগ্রামের পক্ষ নিতে পেরে আমরা গর্ববোধ করি। বিগত ছয় মাস ধরে ইসরাইলি গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের সামনে অটল ও অবিচল প্রতিরোধ গড়ে তোলায় তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের সাহসী প্রতিরোধ যুদ্ধের কারণে ফিলিস্তিন এখন গোটা বিশ্বের প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা বিশ্ববাসীর সামনে একথা প্রমাণ করতে পেরেছি যে, চলমান গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা সঠিক পথে রয়েছে এবং ইরানসহ যারা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের অবস্থানই ন্যায়সঙ্গত।

সাক্ষাতে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধে সহযোগিতা করার জন্য ইরানের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান ইসমাইল হানিয়া। হামাসের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যু সম্পর্কে তেহরানে গভীর উপলব্ধি তৈরি হয়েছে বলেই ইরানি জনগণ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি বিরল প্রস্তাব পাস হওয়ার পরদিন মঙ্গলবার ইসমাইল হানিয়া তেহরান সফরে আসেন। সফরের প্রথম দিনে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.