ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতিতে আমেরিকার হাত ছিল না: ডোনাল্ড লু

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনায় আমেরিকার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

শুনানিতে লু ‘কেবলগেট’ বা সাইফার কেলেঙ্কারি হিসেবে পরিচিত এই ঘটনাকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বলে অভিহিত করেন। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ইমরান খানের অপসারণে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই অভিযোগ, এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মিথ্যা। পাকিস্তানে যেটিকে সাইফার বলা হয়, আমি সে সম্পর্কিত সংবাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছি। ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে কথিত কূটনৈতিক তারবার্তাটি ফাঁস হয়েছে।

ডোনাল্ড লু আরও বলেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অথবা আমার জড়িত থাকার কোন প্রমাণ নেই। এ ছাড়া ইমরান খানের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র হয়নি সেটি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত নিজেও স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেন লু।

ডোনাল্ড লু ২০২২ সালের গোড়ার দিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মজীদকে ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। পরে সেই বিষয়টি একটি তারবার্তায় আসাদ মজীদ ইসলামাবাদে ইমরান খানের সরকারকে অবহিত করেন। এ বিষয়টি পাকিস্তানে ‘কেবলগেট’ বা সাইফার কেলেঙ্কারি হিসেবে পরিচিতি পায়।

তারবার্তার সূত্র ধরে ইমরান খান দাবি করেন, ২০২২ সালে তার সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল। এই বিষয়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি মামলাও আছে।

পরে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তান ও মার্কিন সাংবাদিকরা বিস্তারিত জানতে চান। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বারবার বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে আসছে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.