পদ্মার ‘ঢেউয়ে’ ফেসভ্যালুর নিচে এক্সিমের শেয়ার

দুর্দশায় পড়া পদ্মা ব্যাংক একীভূত হচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে। সেই লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের এ দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আর এদিনই দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার দর ৩০ পয়সা কমে ফেসভ্যালুর নিচে নেমে গেছে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সোমাবর সকালে এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ১০ টাকায়। এদিন শেয়ার দর ৩০ পয়সা কমে ৯ টাকা ৭০ পয়সায় অবস্থান করছে। এতেই ফেসভ্যালুর নিচে নেমেছে ব্যাংকটির শেয়ারদর।

ব্যাংক মার্জারের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের পুঁজিবাজারে। এর ফলে আজ ২৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে। বিপরীতে মাত্র ৫টি ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর অপরিবর্তিত ছিলো ৮টি ব্যাংকের শেয়ারদর।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ অর্থসূচককে বলেন, ব্যাংক মার্জারের বিষয়ে অনেকগুলো প্রশ্নই অজানা। পুরো বিষয়টিই যেহেতু অস্পষ্ট তাই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত এক্সিম ব্যাংকের মার্জারের বিষয় খতিয়ে দেখা। এরপর কোনো ত্রুটি পেলে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকে জানানো দরকার।

এর আগে গত রোববার একীভূতকরণ সংক্রান্ত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেছে এক্সিম ব্যাংক। এর ফলে একীভূত হওয়ার খবর পুঁজিবাজারের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পেরেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

আজ একীভূত হওয়া নিয়ে পদ্মা ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরপর এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, এক্সিম ব্যাংকের প্রতিটি সূচক ভালো অবস্থানে আছে, আশা করবো ভালো হবে। পদ্মা ব্যাংকের মানবসম্পদ যেটা রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কর্মী তাদের কারো চাকরি যাবে না। সবাই কর্মরত থাকবেন এক্সিম ব্যাংকের হয়ে। এছাড়া আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের কোন ক্ষতি হবে না। সবকিছু আগের মতোই চলবে।

বাংলাদেশে এর আগেও বেশ কিছু ব্যাংক একীভূত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই সরকারি ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক আছে একটি। সেসব ব্যাংকের অভিজ্ঞতাও বেশি ভালো না।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.