নওশাদ সিদ্দিকি লড়তে চান অভিষেকের বিরুদ্ধে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলির একটি ডায়মন্ড হারবার। কারণ এই অঞ্চলের সাংসাদ বা এমপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই আসন থেকেই লড়তে চাইছেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। ২০২১ সালে বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ভোটে লড়েছিল আইএসএফ। এবার এখনো আসন সমঝোতা হয়নি। তবে ডায়মন্ড হারবার আসনটিতে এখনো কারও নাম ঘোষণা করেনি বামেরা।

সোমবার এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে বাম সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে।

আইএসএফ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৪২ টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসনে তারা লড়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু বামেদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনার পর তারা ৮টি আসন থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রটি। যেখান থেকে নওশাদ দাঁড়াতে চেয়েছেন।

ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রটির মধ্যে মোট সাতটি বিধানসভা অঞ্চল আছে। যার মধ্যে অন্যতম মেটিয়াবুরুজ। আর এই মেটিয়াবুরুজের মুসলিম ভোটকেই পাখির চোখ করতে চান নওশাদ। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে ঠিক এভাবেই জয় পেয়েছিলেন তিনি। তবে লোকসভার কেন্দ্র বিধানসভার চেয়ে অনেক বড়। ডায়মন্ড হারবার তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। এখান থেকে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন অভিষেক। নওশাদ সেখান থেকে দাঁড়ালে এবং মেটিয়াবুরুজের ভোটে হাত দিলে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি যাদবপুর কেন্দ্রটিও চেয়েছিল আইএসএফ। এই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই ভাঙড় বিধানসভা অঞ্চলটি পড়ে। সে কারণেই যাদবপুর আসনটি চেয়েছিল আইএসএফ। বস্তুত, গত শনিবার তারা যে প্রাথমিক তালিকা জানিয়েছে, তাতে যাদবপুরের কথা আছে। অন্যদিকে বামেরা ইতিমধ্যেই ওই আসন থেকে সৃজন ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, যাদবপুর নিয়ে আইএসএফ-এর সঙ্গে বামেদের সমঝোতা হয়ে যাবে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.