খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদনের সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানান মন্ত্রী।

সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান।

খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার বিএনপি চেয়ারপারসনের জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদন এখন আইন মন্ত্রণালয়ে।

এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে এই চিঠিতেও তারা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। আমি বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চাচ্ছেন। আবেদনের ফাইলটা আজকে আমি পেয়েছি। ওনারা (খালেদার পরিবার) কী আবেদন করেছেন, সেটা দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতিসত্ত্বর নিষ্পত্তি করবো। আগামীকাল (মঙ্গলবার) নাগাদ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

গত বছরের ৯ অগাস্ট এভারকেয়ারে ভর্তি হওয়ার পর টানা ৫ মাস সেখানেই ছিলেন খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে দিতে বিএনপির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়। সরকার রাজি না হওয়ার পর বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ একটি দল ঢাকায় এসে তার চিকিৎসা করেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.