হেরে ‘শিশির’কে দোষারোপ শ্রীলঙ্কার

টস হারের পরও যখন ফিল্ডিংয়ে নামবে বাংলাদেশ, তখন বেশ খুশি হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ‘ডিউ ফ্যাক্টর’ বা শিশিরের আধিক্যতার কারণে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাতের বেলায় ব্যাটিংই করতে চেয়েছিলেন তিনি। টসের সময় ধারাভাষ্যকারকেও জানিয়েছেন তেমনটাই। শেষ পর্যন্ত শান্তর সিদ্ধান্তই সঠিক হলো।

দিবা-রাত্রির দারুণ এক ম্যাচে ছয় উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে ৪৮.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা করে ২৫৫ রান। জবাবে ৩২ বল হাতে রেখেই ম্যাচটি জিতে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না বাংলাদেশের। ৯২ রান তুলতেই চার উইকেট হারায় শান্তর দল।

একে একে বিদায় নেন লিটন দাস (০), সৌম্য সরকার (৩), তাওহীদ হৃদয় (৩) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩৭)। সেখান থেকে দলকে জেতান শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম। ১২৯ বলে ১৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন শান্ত। মুশফিকের ব্যাটে আসে ৮৪ বলে অপরাজিত ৭৩ রানের আরেকটি দারুণ ইনিংস। ম্যাচ শেষে শ্রীলঙ্কার হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন জানিথ লিয়ানাগে।

তিনি বলেন, ‘যখন ৯২ রানে ওরা চার উইকেট হারায় তখন আমরাই এগিয়ে ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের জয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু যখনই শিশির চলে আসলো শুরু করল তখন বোলাররা গ্রিপ করতেই কষ্ট হচ্ছিল। তবে ওরাও ভালো ব্যাটিং করেছে। বাংলাদেশ দলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাতে তারা কৃতিত্বের দাবিদার। শান্ত খুবই ভালো খেলেছে। একইসাথে মুশফিক ভাইও খুব ভালো খেলেছে।’

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য দারুণ ছন্দে ছিল শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী জুটিতে দলটি তোলে ৭১ রান। সেখান থেকে তানজিম হাসান সাকিবের তোপে ৮৪ রানের মধ্যে মোট তিনটি উইকেট হারায় তারা। দলের হয়ে এ দিন সর্বোচ্চ ৬৭ রান করা এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘আমরা যেভাবে শুরু করেছিলাম তাতে তিনশও পেতে পারতাম। এই ব্যাপারে আমরা কিছুটা হতাশ।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.