জামিন পেলেন ২ শিশুর মা

নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন কারাবন্দী হাফসা আক্তার।

বুধবার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন। এদিকে মায়ের জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় আজও দাদির সঙ্গে আদালতে আসে দুই শিশু। তাদের বয়স যথাক্রমে চার ও সাত বছর।

এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের একই বেঞ্চে হাফসার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ সংক্রান্ত ফুটেজ (সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ) রাষ্ট্রপক্ষকে মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করতে বলেন। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত দিনে গতকাল (৫ মার্চ) সংশ্লিষ্ট কোর্টের একজন বিচারক বেঞ্চের বিচারিক কাজে উপস্থিত না থাকায় সেটি আজ আবার শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় পেনড্রাইভে করে ফুটেজ নিয়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন আজ আদালতে উপস্থিত হন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। তিনি ভিডিও ফুটেজ-সংবলিত পেনড্রাইভ ও আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি তুলে ধরেন।

আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ।

এদিকে জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় দাদির সঙ্গে হাফসার দুই মেয়ে গত সোমবারের মতো আজও আদালতে (হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের ৩১ নম্বর কক্ষ) আসে। শুনানির সময় আদালতকক্ষে রাখা সর্বশেষ আসনটিতে দাদির সঙ্গে বসেছিল হাফসার দুই মেয়ে। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের কাকা।

গত ২০ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করে পুলিশ। মামলায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিফল হন হাফসা। এরপর জামিন চেয়ে গত রোববার হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। এই মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন হাফসা।

দুই শিশুর বাবা আবদুল হামিদ ভূঁইয়া বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দুই শিশুর দাদা আবদুল হাই ভূঁইয়া ২৯ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেন, তার বড় ছেলে হামিদকে পুলিশ খুঁজছে। তাকে না পেয়ে ছেলের স্ত্রী হাফসাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অথচ হাফসা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.