ডলার-টাকা অদলবদলে বেড়েছে রিজার্ভ

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা–ডলার অদলবদল (সোয়াপ) সুবিধা চালুর ফলে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এর ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে ৬৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত সময়ে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৭ কোটি ডলার। এর ১৫ দিন আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি যার পরিমাণ ছিলো ১ হাজার ৯৯৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে রিজার্ভ বেড়েছে ৬৩ কোটি ডলারের বেশি।

এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ১১০ টাকা দরে ব্যাংকগুলো প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনছে। এই দামে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলার অদলবদল করেছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার নিয়ে সমপরিমাণ টাকা দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০৫ কোটি ডলার। ২৮ ফেব্রুয়ারি মোট রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৭৬ কোটি ডলারে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ীও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি টাকার সঙ্গে ডলার অদলবদল বা সোয়াপব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ ব্যবস্থার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডলার–টাকা অদলবদল করতে পারছে। সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য টাকা-ডলার অদলবদলের এ ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেশে দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলছে ডলার সংকট। এর ফলে রিজার্ভ কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। ডলার–সংকট সামাল দিতে আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাতে চাহিদা কিছুটা কমলেও ডলারের সংকট এখনো পুরোপুরি কাটেনি। ফলে আমদানি দায় মেটাতে এখনো প্রতি ডলারের জন্য ১২৩ টাকা পর্যন্ত দাম দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। আবার কিছু ব্যাংক ঘোষণার চেয়ে বেশি দাম দিয়ে প্রবাসী আয়ের ডলার কিনছে।

ডলারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকে টাকারও সংকট চলছে। কারণ, ব্যাংকগুলোকে নগদ টাকা দিয়ে ডলার কিনতে হচ্ছে। আবার অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেও তারল্যসংকটে পড়েছে কিছু ব্যাংক। তবে কোনো কোনো ব্যাংকের কাছে বাড়তি কিছু ডলারও রয়েছে। সেসব ডলার এখন তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে তার বিপরীতে সমপরিমাণ টাকা নিচ্ছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.