বর্তমানে অর্থনীতির সংকট আছে: ওবায়দুল কাদের

বর্তমানে অর্থনীতির সংকট আছে- স্বীকার করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এজন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ যেভাবে প্রসারিত হচ্ছে তাতে অর্থনীতির উপর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, তার আলোকে সবাই কাজ করে যাচ্ছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সিন্ডিকেট লালন-পালন করেছে, মজুদদারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে- একথা বললে কি ভুল হবে? যারা করছে তারা বিএনপির পুরনো সিন্ডিকেট। তিনি বলেন, বিএনপি সরকার ছিল ব্যবসায়ী সরকার। আওয়ামী লীগ ব্যবসা করতে আসেনি। এখানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে- এ কথা মনে করার কোনও কারণ নেই। বিভিন্নভাবে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে যে অশুভ চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জন অসন্তোষের কারণ সৃষ্টি করছে তাদের কোনও অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় থাকতে দিনে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো এবং পাঁচ বছরে নয়বার তারা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল-বিএনপি। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৯ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। বিদ্যুতে আমাদের যথেষ্ট ভর্তুকি দিতে হয়েছে। এই ভর্তুকি আমরা ধীরে ধীরে কমাতে চাই। সে কারণেই এখানে একটা সমন্বয় করা জরুরি হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সুবিধা আমরা যদি বজায় রাখতে চাই, তাহলে সমন্বয়টা আমাদের করতে হবে।’

বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎমন্ত্রীই বলেছেন। সমন্বয়ের বিষয়ে আগেও বলেছেন, এখনো বলছেন। কারণ বিদ্যুতে আমাদের ভর্তুকি অনেক বেশি হয়ে গেছে। এই ভর্তুকি আর বাড়তে দেওয়া ঠিক হবে না, সে কারণে সমন্বয় করা জরুরি।’

বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এবং এই আন্দোলনে সরকারের পতন অবশ্যই হবে- এক বিএনপি নেতার এমন মন্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে দেশে একটা নির্বাচন হয়ে গেল। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের মহড়া দিয়েছে। আগুন সন্ত্রাস করেছে। আন্দোলনের নামে কত ভয়ংকর ভূমিকায় বিএনপি হতে পারে সেটা তারা করে দেখিয়েছে বারে বারে। জনগণের সম্পৃক্ত ছিল না বলে অতীতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ভুল ও নেতিবাচক রাজনীতি করে যাচ্ছে বিএনপি। তারা একসময় নিশ্চয়ই স্বীকার করবে আন্দোলনে তাদের ভুল আছে। নির্বাচনে না আসাটা বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল। এখন তারা উপলব্ধি করবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবার নির্বাচনে যত বেশি-বিদেশি খেলা হয়েছে, তখনও ভারত আমাদের পাশে ছিল। এখানে শেখ হাসিনাকে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন কেন আসবে? বন্ধু বন্ধুর মতো থাকবে। সহযোগিতার অর্থ নিয়ন্ত্রণ নয়। পারস্পারিক সহযোগিতা, সমন্বয় এখন খুবই জরুরি। ডিপ্লোমাসি উইথ কমনসেন্স খুবই জরুরি।

এ সময় বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রীর বিপুল অর্থ সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। তিনি মন্ত্রী হন আর যেই হোন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.