প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন জার্মানি সফরকালে বিদেশি নেতাদের কেউ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। বরং তাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স শেষে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সফরকালে নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই, কোনো কথাও নেই। নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি, তারা জানতো আমি জিতে আসবো।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিনিয়োগ, পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এরআগে, লিখিত বক্তব্যে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে বড় শক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আঞ্চলিক সংঘাত, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, নিউক্লিয়ার নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু নিরাপত্তা, তথ্য নিরাপত্তা, পানি নিরাপত্তা, অভিবাসন, সাপ্লাই চেইন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মহামারি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে মূলত রাষ্ট্র/সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও নেতারা, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ করেন। এটি সমকালীন ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্চপর্যায়ের নিয়মিত আলোচনার একটি শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসেবে বিবেচিত। এ বছরের ফোরামে ৩৫-জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সফরের প্রথম দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি আমি ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট : স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করি। এই আলোচনায় আমার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি, বারবাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মটলে এবং মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোসা জামির। প্যানেলটিতে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে আমি বক্তব্য প্রদান করি। বক্তব্যের শুরুতেই আমি গাজা ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে চলমান যুদ্ধবিগ্রহ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং নিরস্ত্র মানুষের, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের, অমানবিক হত্যার কবল থেকে মুক্ত করে সকল প্রকার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার জোর আহ্বান জানাই।
অর্থসূচক/এমএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.