আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমায় একসময় আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, ২১ বছর তারা সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কোনো কথা বলেনি। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরাই অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছি এবং সফলও হয়েছি। ২০১২ ও ২০১৪ সালে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি করি। আজ বিশাল সমুদ্রসীমার অধিকার রয়েছে, আমরা সম্ভাবনাময় একটা বিশাল অর্থনৈতিক এলাকা পেয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’ এর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র গবেষণার জন্য আমরা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলেছি। অথচ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সরকারগুলো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সমুদ্র এলাকায় আমাদের বিশাল অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হয়েছে। আমাদের সামুদ্রিক পথ ব্যবহার করে এখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে তেল, গ্যাস উত্তোলনের জন্য ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তেল, গ্যাস উত্তোলনে বিনিয়োগ করতে পারেন। আমরা চাই তেল, গ্যাসের সঠিক ব্যবহার। বিশাল সমুদ্রসীমার সম্পদ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করাই সরকারের লক্ষ্য।
দেশের প্রত্যেক বিভাগে মেরিন একাডেমি করা হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার উন্নয়নে নানা ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ব্লু ইকোনমি যেন ব্যবহার করতে পারি সে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.