গাজা ও পশ্চিম তীরের অর্থনীতি ধসে পড়েছে: আইএমএফ

ইসরাইলের ভয়াবহ আগ্রাসনে গাজা উপত্যকা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের অর্থনীতি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জিওর্জিয়েভা। তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র ‘টেকসই শান্তি’ এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে।

দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জিওর্জিয়েভা বলেন, যুদ্ধ চলতে থাকায় ফিলিস্তিনের অর্থনীতির ভবিষ্যত প্রতিনিয়ত অন্ধকার থেকে অন্ধকারতর হচ্ছে। যদি রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে একটি টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলেই কেবল এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।

আইএমএফ প্রধান বলেন, অর্থনৈতিকভাবে এই যুদ্ধের প্রভাব মারাত্মক বিধ্বংসী। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গাজা উপত্যকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম শতকরা ৮০ ভাগ কমে গেছে। এই হার পশ্চিম তীরে ২২ শতাংশ বলেও তিনি জানান।

গাজা উপত্যকা ইসরাইলি সেনাদের ভয়াবহ আগ্রাসনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পশ্চিম তীরের ক্ষতির জন্য আইএমএফ প্রধান অন্য কিছু কারণের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইসরাইল সরকার পশ্চিম তীরের অধিবাসী এক লাখ ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি কর্মীর ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করেছে এবং ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষকে করের অর্থ দেয়নি। এ ছাড়া পশ্চিম তীরের সঙ্গে ইসরাইলের চেক পয়েন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করে পরিবহণ ব্যবস্থাকে প্রায় অচল করে দেয়া হয়েছে।

জিওর্জিয়েভা আরও বলেন, গাজা উপত্যকার যুদ্ধের কারণে পশ্চিম তীর ও গাজার পাশাপাশি প্রতিবেশী মিসর ও লেবাননের পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য অবিলম্বে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.