মাদ্রাসা ভাঙাকে ঘিরে ভারতে গুলিতে নিহত ৪

উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গুলিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২৫০ জন।

হলদোয়ানিতে কার্ফিউ জারি করা হয়েছে। সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরে এখনো যথেষ্ট উত্তেজনা আছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি বেআইনি মাদ্রাসা ভাঙা হচ্ছিল। মাদ্রাসার সংলগ্ন একটি মসজিদও আছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ওই মাদ্রাসা ও মসজিদ বেআইনি। বানভুলপুরা থানার কাছে ওই মাদ্রাসা আদালতের নির্দেশে ভাঙা হচ্ছিল বলে দাবি তাদের।

পুলিশের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারা যখন মাদ্রাসা ভাঙতে যান, তখনই গোলমাল শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তেজক হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে প্রায় একশ জন পুলিশ কর্মী আহত হন।

পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্য়াসের সেল ফাটায়। কিন্তু পরে থানার সামনে রাখা কয়েকটি গাড়ি, ২০টি মোটরসাইকেল ও একটি পুলিশের বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এরপর গুলি চলায় পুলিশ।

মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেছেন, ‘আদালতের নির্দেশের পর বেআইনি কাঠামো ভাঙার জন্য টিম পাঠানো হয়। কিন্তু ওই এলাকায় কিছু অসামাজিক মানুষ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’

পুরসভার কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায় দাবি করছেন, ‘পুরসভা ওই বেআইনি কাঠামো সিল করে দিয়েছিল। তার আশপাশের তিন একর জমিও সিজ করা হয়েছে।’

উত্তরাখণ্ডই হলো ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হচ্ছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.