লাশ পড়ে আছে উখিয়া সীমান্তে

মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রান্তে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে। এর মধ্যে জান্তা সরকার একাধিক ঘাঁটি হারিয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৩০ জন।

এদিকে অস্থিরতার মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালীর রহমতেরবিল সীমান্ত এলাকায় একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পড়ে আছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবি থেকে খবর দিয়েছে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে সীমান্ত এলাকা ও রাত হওয়ায় বিজিবি সকালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করার পরামর্শ দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, লাশটি রোহিঙ্গাদের কারও হতে পারে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই রহমতেরবিল সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৩৭ সদস্য। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম ব‌লেন, ‘মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে এখন পর্যন্ত বিজিপির ৩৩০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তুমব্রু থেকে ১০০ জনকে টেকনাফের হ্নীলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’

গত সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউপির চার নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানে দুইজন নিহত হন। গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে আরাকান আর্মিসহ কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.