যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে হামাসের জবাব ‘ইতিবাচক’: কাতার

গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ইসরাইলি প্রস্তাবের ব্যাপারে হামাসের জবাবকে ‘মোটের উপর ইতিবাচক’ বলে মন্তব্য করেছে মধ্যস্থতাকারী কাতার। যদিও তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেননি।

মঙ্গলবার দোহা সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুররহমান আলে সানি এ মন্তব্য করেন।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, কাতার, মিসর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তৈরি করা প্রস্তাবের যে জবাব হামাস দিয়েছে তা ইসরাইলের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। আজ (বুধবার) ইসরাইল সফরে গিয়ে এ ব্যাপারে তিনি নেতানিয়াহু সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের একটি সম্ভাব্য চুক্তিকে ‘জরুরি’ বলে মন্তব্য করেন। এ লক্ষ্যে মার্কিন সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

ইসরাইল, আমেরিকা, মিসর ও কাতার গত মাসে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈঠক করে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার যে প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস মঙ্গলবার তার জবাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তারা গাজায় ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইসরাইলি প্রস্তাবের ‘ইতিবাচক’ জবাব দিয়েছে যাতে গাজার পুনর্গঠন, ত্রাণ সরবরাহ, ১৭ বছরের অবরোধ প্রত্যাহার এবং বন্দি বিনময় সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামাসের জবাবের খুঁটিনাটি তুলে না ধরে বলেছেন, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতারকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি গোটা আলোচনা প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলছে বলে তিনি জানান।

এদিকে যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর বলেছে, মধ্যস্থতকারীদের মাধ্যমে হামাসের জবাব তাদের হাতে পৌঁছেছে এবং সব দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ব্যাপারে তেল আবিব তার প্রতিক্রিয়া জানাবে। এর আগে অবশ্য নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, তিনি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি মানবেন না। পার্সটুডে

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.