সেনাসহ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১১৪ জন

মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রান্তে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে। এর মধ্যে সাগাইং, মাগওয়ে এবং মান্ডালায় তীব্র লড়াই হয়েছে। কাচিন এবং কারেন রাজ্যেও লড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেনারা ঘাঁটি বাঁচাতে পারেনি। ৬২টি সেনা ট্রুপ পরাজিত হয়েছে। জান্তা সরকার একাধিক ঘাঁটি হারিয়েছে।

তার মধ্যে বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন ২২৯ জন। তার মধ্যে আজ সকালে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতবিল সীমান্ত দিয়ে আরও ১১৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের রহমতবিল বিজিবি ফাঁড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নতুন করে যে ১১৪ জন আজ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যই নয়, দেশটির সেনাসদস্য, শুল্ক কর্মকর্তা ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন। নতুন করে দেশে প্রবেশকারীদের পরিচয় শনাক্তের পর নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কাজ করছে বিজিবি।

এদিকে মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানে দুইজন নিহত হন। সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউপির চার নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে আরাকান আর্মিসহ কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.