সুদের হার কমানোর বিপক্ষে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সুদের উঁচু হার সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ভালো করছে। এ কারণে সুদের হার এখনই কমানোর বিপক্ষে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এদিকে আট সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন ডলারের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে বলে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সেটি ঘটবে না বলে ধারণা করে বিশ্ব আর্থিক বাজারে ডলারের দাম বেড়ে গেছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আর্থিক বাজারে জাপানি ইয়েন এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ডলারের দাম পড়ে যায়। মার্কিন ডলারের বিপরীতে এই পতন গত দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। একইভাবে এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমেছে ইউরোর দাম। প্রতি ইউরোর বিপরীতে এখন পাওয়া যাচ্ছে ১ দশমিক শূন্য ৭ ডলার।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচকের মান ১০৪ দশমিক ১৮-এ উঠেছে, যা গত ডিসেম্বরের পরে সর্বোচ্চ।

এর আহে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বাজারে যে প্রত্যাশা ছিল, কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক ভালো হওয়ার কারণে সুদের হার কমানো নিয়ে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।

গত সপ্তাহে জেরোম পাওয়েল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে বলেছিলেন যে সম্ভবত মার্চে সুদের হার কমানো হবে না।

পিপারস্টোনের গবেষণা বিভাগের প্রধান ক্রিস ওয়েস্টন বলেন, ফেডের ওপেন মার্কেট কমিটির পর সাংবাদিক সম্মেলনে জে পাওয়েল যা বলেছেন এবং এরপর অকৃষি খাতের শক্তিশালী কর্মসংস্থানের প্রতিবেদন—এই দুটি বিষয় সত্যিকার অর্থে মার্চে সুদের হার কমানোর রাস্তা কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে।

কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা–বিশেষজ্ঞ ক্যারল কং বলেন, ডলারের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি সম্ভবত টেকসই হবে।

মার্কিন সুদের হার আরও বেশি সময় উচ্চপর্যায়ে থাকবে, এই প্রত্যাশায় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিলের সুদের হারও বেড়ে গেছে। দুই বছর মেয়াদি বিলের আয় বেড়ে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশে উঠেছে। আর ১০ বছর মেয়াদি বিলের সুদের হার বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.