‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও সেনা প্রত্যাহার ছাড়া বন্দিদের মুক্তি নেই’

ইসরাইলি আগ্রাসনের শিকার গাজা উপত্যকায় আটক ইহুদিবাদী পণবন্দিদের ছেড়ে দেয়ার জন্য চারটি শর্ত আরোপ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ইসলামি জিহাদ আন্দোলন। আমেরিকা ও তার মিত্ররা যখন একটি চুক্তির মাধ্যমে এসব পণবন্দিকে উদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তখন সংগঠনটির মহাসচিব জিয়াদ আন-নাখালা এসব শর্তের কথা ঘোষণা করেছেন।

গাজায় ইসরাইল-বিরোধী বেশ কয়েকটি প্রতিরোধ সংগঠন কাজ করছে এবং এগুলোর মধ্যে হামাসের পরেই ইসলামি জিহাদের অবস্থান।

নাখালা বলেন, তার সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষিত চারটি প্রধান শর্ত অগ্রাহ্য করা হলে ইসরাইলের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না ইসলামি জিহাদ। তার ঘোষিত চারটি শর্ত হচ্ছে- গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, উপত্যকা থেকে সকল দখলদার সেনা প্রত্যাহার, গাজা পুনর্গঠনের নিশ্চয়তা প্রদান এবং ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হয় এমন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া।

গত দু’দিন ধরে পশ্চিমা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে এ খবর প্রকাশিত হচ্ছে যে, গাজার প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর সঙ্গে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে ওই উপত্যকায় আটক ইসরাইলি পণবন্দিদের মুক্ত করতে মার্কিন সরকার ব্যাপক চেষ্টা-তদবির করছে। এ লক্ষ্যে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বহুপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে এবং সেখান থেকে একটি প্রস্তাবের খসড়া হামাসসহ গাজার প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এ ধরনের একটি খসড়া প্রস্তাব হাতে পাওয়ার খবর জানিয়ে মঙ্গলবার বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে ইসরাইলের সঙ্গে কোনো চুক্তি হবে না। পার্সটুডে

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.