জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে এটাই প্রথম মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা। এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এবং ইরানের সরাসরি জড়িত হয়ে সংঘাত সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের বিবৃতির বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের টাওয়ার ২২ এলাকায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোনটি আঘাত হানে। এতে তিন মার্কিন সেনা নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ হামলার জন্য ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীদের দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এ প্রসঙ্গে জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সিরিয়ার সঙ্গে লাগোয়া সীমান্তে উত্তর-পূর্ব জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে আকাশ পথে চালানো ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনাসদস্য নিহত হয়েছে এবং আরও অনেক লোক আহত হয়েছে। এই আক্রমণের ঘটনায় আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। আমরা জানি সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় ইরান সমর্থিত মৌলবাদী জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। কোনো সন্দেহ নেই এই হামলায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং তা হবে আমাদের পছন্দের ভিত্তিতে।’
গত বছরের মধ্য অক্টোবর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্র ও বহুজাতিক বাহিনীর সদস্যদের ওপর দেড়শ’রও বেশি হামলা হয়েছে আর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ওয়াশিংটন ওই দুটো দেশেই হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এসব হামলার জন্য প্রধানত দায়ী করছে ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠনকে। ইরান সমর্থিত এই সশস্ত্র সংগঠনটি গাজা সংঘাতে ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিরোধিতা করে আসছে।
নতুন করে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মাধ্যমে। ওই হামলায় হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে এক হাজার ১৪০ জনকে হত্যা করে। এই হামলার পর পাল্টা জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। জল, স্থল ও আকাশ পথে ইসরায়েলি আক্রমণে এ পর্যন্ত সেখানে ২৬ হাজার ৪২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.