শ্রম আইন লঙ্ঘন: জামিন পেলেন ড. ইউনূস

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। সেইসঙ্গে তাদের জামিন দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) শুনানি শেষে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩ মার্চ আপিল বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন চেয়েছিলেন ড. ইউনূস।

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ আপিল অ্যাডমিটেড হয়েছে। এ ছাড়া সব আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের জামিন দেওয়া হয়। ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

জানা যায়, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.