রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশ ভারাক্রান্ত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশ ভারাক্রান্ত জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশ একটি জনবহুল দেশ। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ডিসপ্লেসড পিপলের কারণে আমরা ভারাক্রান্ত। প্রতি বছর ৩৫ হাজার করে নতুন সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এই পরিস্থিতিতে আসলে; মানবিকতার কারণে তখন আমরা রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়েছিলাম। আমরা মনে করি, মিয়ানমারে পরিস্থিতি উত্তরণের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এক গণমাধ্যমকর্মী প্রশ্ন করেন- রাখাইনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, অনেক রোহিঙ্গা সেখানে হতাহত হচ্ছে। সেখানকার পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়ে যায়, আমরা নতুন করে তাদের ঠাঁই দেবো কি না- জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব রোহিঙ্গা ডিসপ্লেসড পিপল আমাদের দেশে এসেছে, তাদের কারণে আমাদের দেশে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যেটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও আমার আলোচনা হয়েছে। আমাদের এখানে সিকিউরিটি প্রবলেম তৈরি হয়েছে, এনভায়রনমেন্টাল প্রবলেম তৈরি হয়েছে। এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো আসলে একটা ব্রিডিং স্পেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেনাটিজমের জন্য এবং যেসব টেররিস্ট গ্রুপ আছে, তারা সেখানে থেকে রিক্রুট করার চেষ্টা করে, অনেক ক্ষেত্রে হচ্ছে। সুতরাং দেয়ার আর মাল্টিপল প্রবলেমস।’

হাছান মাহমুদ  জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি, রোহিঙ্গাদের সেখানে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান। তারাও আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের পাশে আছে। আমরা মনে করি, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে তাদের প্রচেষ্টা ও চাপ অব্যাহত থাকবে।

আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি নেতিবাচক প্রভাব আছে। তবে আমরা সবসময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যদি মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা বন্ধের রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। এই মামলা দক্ষিণ আফ্রিকাকে আমরা আগেই সমর্থন দিয়েছি।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.