দেশে ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাস হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ইতোপূর্বে ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাস করেনি, ভবিষ্যতেও ইসলামবিরোধী কোনো আইন মুসলমানদের দেশে পাস করা হবে না। তাছাড়া ট্রান্সজেন্ডারকে অর্থাৎ ছেলে হয়ে নিজেকে মেয়ে পরিচয় দেওয়া কিংবা মেয়ে হয়ে ছেলে পরিচয় দেওয়া এ বিষয়ে সরকারের কোনো আইনে তাদের বৈধতা দেওয়া হয়নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেটা ইসলামে হারাম সেটাকে আমিও হারাম মনে করি এবং প্রধানমন্ত্রী এটাকে হারাম মনে করেন। কাজেই ইসলামবিরোধী কোনো আইন দেশে পাস হবে না ইনশাআল্লাহ।

রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার দস্তারবন্দি ও খতমে বুখারি অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে কোনোকিছু বলিনি। আমরা তাদের কিছু স্বীকৃতিও দিইনি। কাজেই এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। কেউ যদি করে এগুলো সে নিজে করবেন। আল্লাহর গজবের শিকার হবেন। তার বিচার মহান রাব্বুল আলামিন করবেন। আমরা তাদের কোনো সহযোগিতা করবো না, উৎসাহ দেব না। আমরা তাকে বলে দিব তুমি যা করছ সেটি ইসলাম বিরোধী।  প্রধানমন্ত্রী আলেমদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু করা হবে না। সরকার ওলামায়ে কেরামের পরামর্শকে গুরুত্ব দিতে যথেষ্ট যত্নবান৷ জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম, তাবলিগ জামাত, পটিয়া মাদরাসাসহ দেশের চলমান বিভিন্ন সংকট নিরসনে আলেমদের পাশে চায় সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ওলামায়ে কেরামের কাছে বিশেষ আবেদন, আপনারা ইসলাম, মানবতা ও শান্তির বার্তা দেশময় ছড়িয়ে দিন৷ ইসলামের বদনাম করা ও ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য শত্রুরা মরিয়া হয়ে কাজ করছে৷ আজ পুরো বিশ্বের মুসলমান ষড়যন্ত্রের শিকার৷ ওদের ভাষ্য হলো, মুসলিম মানেই হলো সন্ত্রাস! বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম যদি সোচ্চার ভূমিকা রাখেনে তাহলে শত্রুর সব ষড়যন্ত্রই ব্যর্থ হবে৷ আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের ওলামা বা মাদরাসার কেউ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত নয়৷

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের মতো এত ধর্মপ্রাণ মুসলমান পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই৷ আপনারা ইসলাম, দেশ ও মানবতার সেবায় কাজ করুন৷ ইনশাআল্লাহ বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান এ দেশের একজন মান্যবর আলেম৷ তাকে আলেমরা যেমন শ্রদ্ধা করেন আমরাও তেমন শ্রদ্ধা করি৷ আমরা অনেক জটিল বিষয়ের সমাধান হুজুরের কাছ থেকে পেয়ে থাকি৷ মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেব বাংলাদেশের ওলামাদের মাঝে শান্তির প্রতীক৷

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বাদ জোহর মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমির মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসানের বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.