‘গাজায় ইসরাইলের ইচ্ছাকৃত যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ নেই’

ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি এবং বিষয়ে কোনো প্রমাণও নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন এবং যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি মেক্সিকো ও চিলি যে আহ্বান জানিয়েছে সে সম্পর্কে জন কারবি বলেন, আমেরিকা এখনো আরো তথ্য সংগ্রহ করছে যে এতে কী অন্তর্ভুক্ত হবে। আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই যা গাজায় ইসরাইলের ইচ্ছাকৃত যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বহন করে।

গত সাড়ে তিন মাসের আগ্রাসনে ইসরাইলের দখলদার সেনারা গাজা উপত্যকায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে যার শতকরা ৭০ ভাগের বেশি নারী ও শিশু। এ ছাড়া, ৬০ হাজারের বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে যাদের অনেকেই চিরজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করবে। এছাড়া, ইসরাইলি আগ্রাসনে লাখ লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি ইহুদিবাদী সেনারা গাজার হাসপাতাল, চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, মসজিদ, গির্জাসহ সব ধরনের বেসামরিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে।

এছাড়া, নিরপরাধ মানুষের কাছে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে আসা মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করেছে। এত জঘন্য অন্যায় অপরাধ এবং বর্বরতা চালানোর পরেও আমেরিকা বলছে- ইসরাইল কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি। অথচ এরই মধ্যে বিশ্বের বহু দেশ ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘঠনের অভিযোগ এনেছে এবং এই অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। গত ১১ ও ১২ জানুয়ারি হেগের আদালতে মামলার প্রাথমিক শোনানি হয়েছে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.