সরকার গঠনের পথে আওয়ামী লীগ

টানা চতুর্থবার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ২৯৯ আসনের মধ্যে একটি বাদে এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে মোট ২৯৮ আসনের ফলাফল। সেই ফলাফলে ২২২ আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। চমক দেখিয়ে ৬২ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

আর একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টি (জাপা) এবার বিজয়ের দেখা পেয়েছে মাত্র ১১টিতে। এদিকে, কল্যাণ পার্টি একটি এবং মহাজোটের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি পেয়েছে একটি করে মোট দুটি আসন। অন্যদিকে, খালি হাতে ফিরেছে বিএনপির দলছুট নেতাদের নিয়ে গঠিত শমসের মুবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপিসহ ২৩টি দল।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে নামেন মোট এক হাজার ৯৬৯ প্রার্থী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬৫টি, জাতীয় পার্টি ২৬৪টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৬৬টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৬টি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ২৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এ ছাড়া ভোটের লড়াইয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ছিলেন ৪৩৬ জন। প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলাফলে বিজয়ীর তালিকায় আসেন আওয়ামী লীগ থেকে ২২২ জন, জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের ১১ জন, মহাজোট মনোনীত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ে বগুড়া-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন আর একই প্রতীকে বরিশাল-২ থেকে জয় পেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এ ছাড়া মাত্র একটি আসনে জয়ের মুখ দেখেছে হাত ঘড়ি প্রতীকে ভোটের মাঠে থাকা কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম। কক্সবাজার-১ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন তিনি।

আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ট্রাক প্রতীকে ২৫টি, ঈগল প্রতীকে ২৩টি, ঢেঁকি প্রতীকে একটি, কলার ছড়ি প্রতীকে তিনটি, কেটলি প্রতীকে পাঁচটি ও কাঁচি প্রতীকে পাঁচটি আসনে জয় পান। সব মিলিয়ে ৬২টি আসনে চমক দেখান স্বতন্ত্রের এই প্রার্থীরা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.