ঈগলের থাবায় পরাজয় বরণ করলেন নৌকার গোলাপ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম। তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট।

রোববার (৭ জানুয়ারি) এ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা। মাদারীপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন।

আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ পুরুষ, আর ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ নারী। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। রোববারের ভোটে সারা দেশের ২৯৯ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী।

এর মধ্যে ১ হাজার ৫৩৪ জন ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। বাকি ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নওগাঁ-২ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট হচ্ছে ২৯৯ আসনে। ওই আসনটিতে পরে ভোটগ্রহণ হবে। সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

তথ্য মতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।

এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।

অর্থসূচক/

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.