ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্টে দারুণ সূচনা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ দিন ১০০ রানের আগেই পাকিস্তানের ৫ উইকেট তুলে নেয় অজিরা। অবশ্য মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৮৮, আঘা সালমানের ৫৩, আর আমির জামালের ৮২ রানের ইনিংসে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেয় সফরকারীরা। তবে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স একাই পাঁচ উইকেট তুলে নিলে ৩১৩ রানেই গুঁটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। জবাবে ওয়ার্নারের ৬ রানে দিন শেষ করে অজিরা।
সিডনিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। কিন্তু দিনের শুরুতেই দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও অভিষিক্ত সায়েম আইয়ুব ফেরেন শূন্য রানে। পঞ্চম পাকিস্তানি ওপেনার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে শূন্য রানে ফেরেন আইয়ুব। শুরুর এই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক শান মাসুদ ও বাবর আজম। কিন্তু পাকিস্তানের বাঁধা হয়ে দাঁড়ান কামিন্স।
এই পেসারের ইনসুইং ডেলিভারি বাবরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে, ২৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর উইকেটে আসা সাউদ শাকিলকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকার করেন কামিন্স। তার শর্ট লেংথ ডেলিভারি শাকিলের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাবস বন্ধী হলে ৪৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। এরপর ৪৯ রানের জুটি গড়েন মাসুদ ও রিজওয়ান।
এ সময় ৩৫ রানে ব্যাট করতে থাকা অধিনায়ক মাসুদকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন মিচেল মার্শ। তার গুড লেংথ ডেলিভারি মাসুদের ব্যাট ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা স্টিভ স্মিথের হাতে গেলে শত রানের আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। সেই ধাক্কা বেশ দারুণভাবেই সামাল দিয়েছেন রিজওয়ান ও সালমান। তাদের ৯৪ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান।
পথ খুঁজে পাওয়া পাকিস্তানকে আরো একবার থামান কামিন্স। তার শর্ট বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রিজওয়ান। দুই ছক্কা ও ১০ চারে ৮৮ রান করে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর উইকেটে আসা সাজিদ খানকেও ফেরান কামিন্স। পরের ওভারের ৫৩ রান করা সালমানকে ফেরান মিচেল স্টার্ক। স্কোয়ার পজিশনে থাকা ট্রাভিস হেডের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর অজিদের আক্ষেপ বাড়িয়েছেন জামাল ও মির হামজা। হাসান আলীকে আউট করে নিজের পাঁচ উইকেট তুলে কামিন্স। পাকিস্তানকে আটকে ফেলার সুযোগও আসে অজিদের। কিন্তু হামজাকে নিয়ে ৮৬ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন জামাল। এ সময় নিজের প্রথম টেস্টে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন জামাল। ৪৩ বলে ৭ রান করে তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন হামজা।
অস্ট্রেলিয়ার আক্ষেপ আরো বাড়ার আগে নাথান লায়ন থামান জামালকে। লং অনে থাকা স্টার্কের কাছে ক্যাচ তুলে দিলে চার ছক্কা ও ৯ চারে সাজানো ৮২ রানের ইনিংস শেষ হয় জামালের। পাকিস্তান থামে ৩১৩ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নামলে ৬ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়াও দিন শেষ করে কোনো উইকেট না হারিয়ে।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.