মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি পেছাল

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে বিচারপতি মো. সেলিমের বেঞ্চে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী ওয়ালিউর রহমান এক সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। এ সময় আদালত বলেন, শুনানির তাড়া ছিল, এখন নেই কেন?

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. সেলিমের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির কার্যতালিকার ১ নম্বরে ছিল। এদিন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী পরদিন সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) শুনানির জন্য আবেদন করলে আদালত বলেন, ‘বন্ধের পর শুনানি হবে। এখন কোনোভাবে সম্ভব না।’ পরে বুধবার (৩ জানুয়ারি) শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল।

গত ৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। তার আগে গত ৩ ডিসেম্বর এই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরও আগে গত ২২ নভেম্বর তার জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। সেই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। পরে ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.