শ্রম আদালতে হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেলেন ড. ইউনূস

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। ড. ইউনূসের পক্ষে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত এ আদেশ দেন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে চতুর্থ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান।

অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ দিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় আগামী ১৪ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে বুধবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস সপ্তম বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হন। তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানিতে অংশ নিতে বুধবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে উপস্থিত হন আদালতে। তার উপস্থিতিতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম চলে।

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে বাদীপক্ষে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এরপর গত ২০ নভেম্বর ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।

গত ৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চারজন আসামীর ফৌজদারী কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন রাখেন।

গত ২ নভেম্বর এ মামলায় চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমান আদালতে জবানবন্দী দেন। এরপর ৬ নভেম্বর তাকে আসামীপক্ষ জেরা করেন। এরআগে গত ২৬ অক্টোবর তৃতীয় এবং ১৮ অক্টোবর এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হাদিউজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদি শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদি হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো: আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো: শাহজাহানকে বিবাদি করা হয়েছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.