১৭২ রানে অলআউট বাংলাদেশ

সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেড়শ রানে জিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে এখন নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল। এবার হোম অব ক্রিকেটে আরও বড় সাফল্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে বাংলাদেশ দলকে। মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজয় এড়াতে পারলেই প্রথমবারের মতো নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতবেন নাজমুল-মুশফিকরা।

সেই লক্ষ্যেই টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেননি শান্ত। বাংলাদেশ দলপতির সিদ্ধান্তে ব্যাটিংয়ে নেমে দেখে দেখে শুনেই খেলেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। বৈরি আবহাওয়ায় নতুন বলের চ্যালেঞ্জ সামলে ১০ ওভারে ওপেনাররা স্কোরবোর্ডে যোগ করেছিলেন ২৫ রান। ধৈর্যের পরীক্ষায় একাধিকবার পাশ করলেও বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষকে সুযোগও দিয়েছেন দুই ওপেনার। কিন্তু ১১তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বিপক্ষে ধৈর্য হারিয়ে মিড অন অঞ্চের ওপর দিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে কেন উইলিয়ামসের তালুবন্দি হন জাকির। ২৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার।

তিনে নামা শান্ত, স্যান্টনারকে পরের বলগুলোতে সামলে নিলেও পরের ওভারে জয়কেও হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। এজাজ প্যাটেলের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্ট লেগে টম ল্যাথামকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বসেন জয়। ৪০ বলে ১৪ রান করে আউট এই ওপেনার। দুই ওপেনার বিদায় নিলেও, ধাক্কা সামাল দিতে শান্তকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন মুমিনুল হক। কিন্তু ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে উল্টো বাংলাদেশকে আরও বিপদে ফেলে বিদায় নেন এই ক্রিকেটার। এজাজের বলে লাইনের বিপক্ষে কাট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের তালুবন্দি হন তিনি। ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। পরের ওভারে অধিনায়ক শান্তর উইকেটও তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।

স্যান্টনারের বিপক্ষে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন শান্ত। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নেন এই স্পিনার। এরপর রিভিউয়ের সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ককে বিদায় করেন স্যান্টনার। ৯ রানে আউট হন তিনি। ৪ ব্যাটারের বিদায়ে দলের দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন মুশিফিক ও শাহাদাৎ হোসেন দিপু। দুই ব্যাটার দেখেশুনে দলকে নিয়ে যান ৫০’র ওপর। নিজেদের মাঝে ৩২ রানের জুটি গড়ে দলকে লাঞ্চ বিরতিতে নিয়ে যান তারা। লাঞ্চ বিরতি শেষে ক্রিজে নেমে দুই ক্রিকেটার মিলে দলকে ১০০’র ঘরেও নিয়ে যান।

দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে লাঞ্চ বিরতির পর নিজেদের মাঝে ৫০ রানের জুটিও গড়েন মুশফিক-দিপু জুটি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৫ রানে কাইল জেমিসনের বল ডিফেন্ড করার পর হাত দিয়ে ধরতে গিয়ে অবস্ট্রাক্টিং দ্যা ফিল্ড হয়ে আউট হন মুশফিক। ৮৩ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। দলীয় ১০৪ রানে মুশফিকের বিদায়ের পর মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন দিপু। তবে মন্থর ব্যাটিং চালিয়ে গেলেও গ্লেন ফিলিপ্সের ঘুর্নিতে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১০২ বলে ৩১ রান করে ফেরেন এই তরুণ। এই ক্রিকেটার ফিরে যাওয়ার খানিক পর নুরুল হাসানকেও বিদায় করেন ফিলিপ্স।

এরপর উইকেটে লড়াই চালিয়ে যাওয়া মিরাজকেও দলীয় ১৫০’র আগে ফিরিয়ে দেন স্যান্টনার। ২০ রানে বিদায় নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। চা বিরতি থেকে ফিরে খুব বেশিক্ষণ টেকেনি বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অল আউট হয়ে ১৭২ রানে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.